Sunday, December 27, 2009

চির সখা হে ...........

ভারতীয় বিশেষ ত বান্ঙালী মেয়ে দের স্বামী রা কখোনো স্ত্রী র বন্ধু হোয়ে উঠ্তে পারেন না । বলা ভালো হোতে চান না । স্ত্রী র মতো অধস্তন এর বন্ধু? পৌরুষে লাগ বে না? বৌ তো কেবল দাসী হোতে পারে । না সব পুরুষ এমোন ভাবেন তা বল ছি না , তবে বেশীর ভাগ স্বামী এমন টি ই ভেবে থাকেন । কেনো ?? সম্পুর্ন অচেনা এক টি মেয়ে সব ছেড়ে এসে স্বামী ও তার পরিবার কে আপন কোরে নেয় । জীবনের শেষ দিন অবধি তার পাশে থাকে । সেই জন্য ই বোধ হয় মেয়ে টি কোনো মুল্য পায় না । ঘরের ই তো বৌ  ...........তার কোনো মন , ইচ্ছা , অধিকার থাক তে নেই । শুধু মেনে নেওয়া , মানিয়ে নেওয়া । দ্রৌপদী ভালোবেসেছিলো অর্জুন কে , কিন্তূ তাকে বাধ্য করা হোলো   পঞ্চপান্ডব কে বিবাহ কোরতে .......তার মনের খবর কেউ রাখেনি । দ্রৌপদির পাঁচ স্বামী র কেউ ই তার বন্ধু হয় নি । তাকে ভালোবাসেনি । শুধু তাকে ব্যবহার কোরেছে ।  এই পাঁচ স্বামী র সামনেই দ্রৌপদী কে চরম অপমান কোরেছে কৌরবেরা । এক জন ও আসেনি তাকে উদ্ধার কোরতে । এসেছিলো এক্জন ...তার সখা , স্বামী নয় । তিনি শ্রীকৃষ্ঞ । মধূসুসদন । রবীন্দ্রনাথের বৌঠান ........কত গুনী, বিদুষী , সুন্দরী ...তিনি ও স্বামীর সান্নিধ্য পেলেন না । ওতো বড় প্রাসাদে তার এক মাত্র সাথী ও বন্ধু ছিলো রবি । কেনো এমন হয় ? স্ত্রী বলেই কি জ্যোতিরিন্দ্রনথের কাছে কাদম্বিনীর কোনো গুরুত্ব ছিলো না । কাদম্বিনী যদি পরস্ত্রী হোতেন ?    তবে দিন বদলাচ্ছে । এই প্রজন্ম অন্য রকম ভাবে বেড়ে উঠেছে । ছেলেমেয়েরা একসাথে পড়াশুনা , কাজকর্ম কোরছে , পরস্পরের মধ্যে বিভেদ কমে আসছে । তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব জন্মাচ্ছে , এটা খুব ই ভালো । আশা করা যায় শুধু স্বামী -স্ত্রী নয় পরস্পর কে বন্ধু হিসেবে তারা দেখবে । প্রশ্ন উঠবে এখোন তাহলে এতো ঘর ভাঙছে কেনো? কারন মেয়ে রা আর পাপোশ হয়ে থাকতে চাইছে না ।  আগে ঘর টিকিয়ে রাখতে কত মেয়ে র চোখের জল , তাদের স্বার্থত্যাগ এর কথা কে মনে রেখেছে? কি দাম পেয়েছে তারা ?